চ’ড়া সুদে ঋণ দেন, পরিশোধে ব্যর্থ হলেই পা’শ’বি’ক নি’র্যা’ত’ন

হবিগঞ্জ শহরের গরুর বাজার এলাকার সুদের কারবারি সেলিম আহমেদের নি’র্যা’ত’নে অ’তি’ষ্ঠ হয়ে উঠেছে সাধারণ লোকজন। তার কাছ থেকে ঋ’ণ নিয়ে লা’ভের টাকা দিতে না পেরে অনেকেই নি’র্যা’ত’নের শি’কা’র হয়েছেন। যারা প’রি’শোধ করতে পারছেন না তাদেরকে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ডে’কে মা’’রধো’র করছেন সেলিম। সম্প্রতি তার নি’র্যা’ত’নের চিত্র সিসি ক্যামেরায় ধ’রা প’ড়েছে।

এ ছাড়া কামড়াপুর এলাকার ফজলু মিয়া নামে এক ব্যবসায়ী তার নি’র্যা’ত’ন ও প্রা’ণনা’শের হু’ম’কির ভ’য়ে মঙ্গলবার হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভি’যোগ দায়ের করেছেন। লিখিত অভি’যোগের অনুলিপি সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে প্রেরণ করা হয়েছে।

লিখিত অভি’যোগ সূত্র ও নির্যাতিতরা জানান, হবিগঞ্জ সদর উপজেলার নছরতপুর গ্রামের মৃ’’ত নিম্বর আলীর ছেলে সেলিম আহমেদ দীর্ঘদিন ধরে গরু বাজার, কামপড়াপুর, যশের আব্দাসহ হবিগঞ্জের বিভিন্ন স্থানে লোকজনদের চ’ড়া সুদে টাকা দিচ্ছেন। এ সুদের কা’রবা’রে তাকে সহযোগিতা করছে তার ছেলে রাকিব আহমেদ।

তিনি কারো কাছ থেকে সপ্তাহে সুদ নিচ্ছেন আবার কারো কাছ থেকে দৈনিক ও কারো কারো কাছ থেকে মাসিক সু’দ নিচ্ছেন। দরিদ্র লোকজন আর্থিক সমস্যায় পড়ে তার কাছ থেকে সুদে টাকা নেন। সুদে টাকা নিয়ে দিতে না পারলে সেলিম আহমেদ তাদের প্রথমে গা’লি’গা’লা’জসহ দু’র্ব্য’ব’হার করেন। পরবর্তীতে সুদের অংক দ্বিগুণ বাড়িয়ে দেন।

বানিয়াচং উপজেলার মার্কুলী এলাকার ফজলু মিয়া গরু বাজার এলাকায় বসবাস করে শ্রমিকের কাজ করেন। তিনি সেলিম আহমেদের কাছ থেকে সুদে টাকা নেন। কিন্তু সেলিম আহমেদের সুদের লা’ভ দিতে না পারায় সেলিম তাকে ডেকে একটি দোকানে নিয়ে যান। সেখানে তাকে মা’র’ধ’র ও শা’রীরি’কভাবে নি’র্যা’ত’ন করেন। এই নি’’র্যা’ত’নের দৃশ্য সিসি ক্যামেরায় রেকর্ড হয়।

নি’র্যা’ত’নের শি’কা’র ফজুল মিয়া জানান, সেলিম আহমেদের কাছ থেকে সুদে ১০ হাজার টাকা নিয়েছিলেন। প্রতি হাজারে দৈনিক ২০০ টাকা তাকে দিতে হয়। কিন্তু এই করোনার সময়ে তার উপা’র্জন বন্ধ হয়ে পড়ায় সেলিম আহমেদকে সুদের টাকা দিতে পারছিলেন না। সুদের টাকা না দেওয়ার কারণেই সেলিম মিয়া তাকে দোকানে ডেকে নিয়ে মা’র’ধ’র করেন। শুধু ফজলু মিয়া নন তার কাছ থেকে সুদে টাকা নিয়ে অনেক লোক নি’র্যা’ত’নের শি’কা’র হয়েছেন।

সেলিম আহমেদের বি’রু’দ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রশাসনের কাছে জো’র দাবি জানিয়েছেন অভি’যোগকারী।

সুদ কারবারি সেলিম আহমেদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন তোলেননি।

হবিগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) তারেক মোহাম্মদ জাকারিয়া বলেন, এ ব্যাপারে কোনো অভি’যোগ আসলে ত’দন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।